দেশকে বড় কারাগারে পরিণত করা হয়েছে। এ কারাগার থেকে মুক্তি পেতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নেই। বড় কারাগার থেকে মুক্তি পেতে হলে হামলার শিকার হতে হবে, মামলার শিকার হতে হবে, জীবন দিতে হবে বলে জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
সোমবার (২৯ আগস্ট) রাতে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ গণঅধিকার পরিষদের তাৎক্ষণিক মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
নুর আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে, নির্যাতন হচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীসহ সবাইকে বলব আত্মরক্ষার্থে প্রয়োজনে পাল্টা জবাব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, মিছিল নিয়ে গণভবনের দিকে গেলেও বাধা দেওয়া হবে না, প্রয়োজনে চা খাওয়াবে। বিপরীত চিত্র সব জায়গায়, সভা-সমাবেশে হামলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ফেরার পথে ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক হাসান আল মামুনসহ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলার চালায়। কারাগার থেকে বেরিয়েও মানুষ নিরাপদ নয়।
গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়ে গুলিস্তান মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের সামনে দিয়ে ঘুরে পল্টেন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব ইসমাইল আহমেদ বন্ধনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক ড. মালেক ফরাজী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমানসহ প্রমুখ।